1. Samsung
স্মার্টফোন মার্কেটের অত্যন্ত পরিচিত এবং অত্যন্ত নিখুত একটি নাম হচ্ছে Samsung। যারা সবসময় নতুন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড মধ্যে ঢুকে থাকে ভালো ভালো প্রোডাক্ট উৎপাদন করে তারা বিশ্বকে সবসময় তাক লাগিয়ে দিতে পছন্দ করে। যথারীতি প্রতিবছরের মতো এবছরও তারা অনেক ভালমানের বেশ কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছে মার্কেটে যেগুলো গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। পৃথিবীতে Samsung একমাত্র কোম্পানির যারা প্রথমদিকে Appel এর সব ধরনের চিপ এবং এলসিডি মনিটর গুলো ডেলিভারি করতে। বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে 21% মোবাইল শেয়ার মার্কেট দখল করে আছে Samsung যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। একসময় Samsung এর মোবাইল শেয়ার মার্কেট 33% বর্তমানে সেটা অনেকটাই কমে তারা বেশ ভালো অবস্থানে নেই বলা যায়। তবুও তারা এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের এক নম্বর স্মার্টফোন মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি। গতবছর Samsung আয় করেছে 210 বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এই মুহূর্তে তাদের সারা বিশ্বজুড়ে তিন লক্ষ 20 হাজার 671 জন এমপ্লয়ী রয়েছে। Samsung শুধু মোবাইল ফোন উৎপাদন করে না তারা ইলেকট্রিক ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন খাত প্রায় সব ধরনের প্রোডাক্টের উৎপাদন করে থাকে।
2. Huawei
টেলিকমিউনিকেশন খাতের সবচেয়ে বড় এবং চাইনিজ টেক জায়ান্টের মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি কোম্পানি হচ্ছে Huawei। নব্বইয়ের দশকে যাত্রা শুরু করা এই কোম্পানিটি বর্তমান মোবাইল শেয়ার মার্কেটের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। 2017 সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি অ্যাপেল এর পরেই তৃতীয় অবস্থানে ছিল এবং 2018 সালে Apple কে পিছনে ফেলে রীতিমতো চমকে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। বর্তমান মোবাইল শেয়ার মার্কেটে তারা বড় একটি অবস্থান দখল করেছে। Huawei বর্তমান সারা বিশ্বজুড়ে 15.8% মোবাইল শেয়ার মার্কেট দখল করে আছে। হুয়াওয়েই রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট বাজেট অলমোস্ট অ্যাপেল থেকে দ্বিগুন। গত বছর Huawei প্রায় 105 বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং তাদের বর্তমানে এম্প্লয়ের রয়েছে তিন লক্ষ 20 হাজারের মতো। চীন, ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ সহ এশিয়ার সব মার্কেটে তাদের সমান অবস্থান রয়েছে এবং তারা শীর্ষে রয়েছে।
3. Apple
কোয়ালিটিফুল প্রোডাক্ট তৈরি করে সারা বিশ্বজুড়ে আমেরিকান টেক জায়ান্ট Apple খুব ভালো মানের সুনাম কামিয়েছে। এন্ড্রয়েড থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি OS নিয়ে এসে তারা মার্কেট চাহিদায় নিজেদেরকে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছে এবং মনোপলি বিজনেজ টা খুব ভালোভাবেই করে যাচ্ছে। গত 2017 সাল পর্যন্ত মার্কেট শেয়ার এর সব সময় সারা বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল অ্যাপেল। কিন্তু 2018 সালে তারা সবচেয়ে বেশি মার্কেট হারিয়ে তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে এবং 2018 সালে 132000 এমপ্লয়ী কোম্পানিটি আয় করেছে করেছেন 265 বিলিয়ন ডলার যা রীতিমতো মোবাইল শেয়ার মার্কেটে বিশাল এক রেকর্ড ও বটে।
4. Oppo
চাইনিজ টেক জায়েন্ট মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে Oppo মোবাইল ফোন। Oppo 2001 সালে তাদের কোম্পানি শুরু করে এবং সে সময় তারা শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের পার্স তৈরিতে ব্যস্ত ছিল এবং 2010 সালে তারা প্রথমবারের মতো কোনো মোবাইল ফোন নিয়ে চাইনিজ মার্কেটে হাজির। হয় 2016 সালের চাইনিজ মার্কেটে সবচেয়ে লিডিং পর্যায়ে চলে যায় কোম্পানিটি এবং একই বছর সারা বিশ্বজুড়ে তারা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে শুরু করে। অল্পদিনের মধ্যেই তারা মোবাইল মার্কেটে সবচেয়ে বড় জায়গাটি দখল করে নিয়েছে তাদের খুব ভালো মানের প্রোডাক্ট এবং এর ফিচারস দিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী খুব ভালো মানের ক্যামেরা থেকে শুরু করে RAM পর্যন্ত অনেক ভালমানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তারা কাস্টমারকে খুব দ্রুতই নিজেদের করে নিয়েছে। বর্তমানে এশিয়াতে সবচেয়ে শীর্ষ তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে Oppo। 2018 সালে Oppo সারা বিশ্বজুড়ে সাড়ে 8 শতাংশ মোবাইল শেয়ার মার্কেট দখল করেছে যা তাদেরকে চতুর্থ পজিশনে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে।
5. Xiaomi
প্রযুক্তিজগতে শীর্ষে থাকা চাইনিজ কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে Xiaomi। Xiaomi খুব বেশি দিন হয়নি মার্কেটে তাদের জায়গা দখল করে নিয়েছে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটার হার্ডওয়ার তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানটি স্মার্টফোন মার্কেট যাত্রা শুরু করে 2011 সালের আগস্টে এরপর তাদের শুধু উপরের দিকে পথ চলা কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তারা এশিয়ার মার্কেট লীডার দের মধ্যে অন্যতম একটি এবং তাদের মার্কেট খুব ভালোভাবেই দাপিয়ে চলছে। ইউরোপের মার্কেটে তাদের খুব বড় শক্ত অবস্থান না থাকলেও ভালোভাবেই তারা সেখানে ঠিকই আছে এই মুহূর্তে। কোম্পানিটি গতবছর আয় করেছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো এবং বর্তমানে তাদের এম্প্লয়ী রয়েছে 16630 জন এর কাছাকাছি এবং স্মার্টফোনের বাইরে তারা স্মার্টওয়াচ ট্যাবলেট কম্পিউটার ল্যাপটপ স্মার্ট টিভির সবকিছুই তৈরি করে। যাচ্ছে বাংলাদেশের চাহিদার শীর্ষে থাকা সেরা তিনটি স্মার্টফোনের একটি হচ্ছে Xiaomi। তাদের অত্যাধুনিক ফিচারস এবং অ্যান্ড্রয়েডের সব ধরনের সুবিধা সবচেয়ে ভালো ভাবে দেওয়া এবং কাস্টমারের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে যায় তাদের মার্কেটে সবচেয়ে বড় ভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। 2018 সালের Xiaomi ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রাই ৭% মার্কেট শেয়ার দখল করতে সক্ষম হয়েছে যা তাদের জন্য নতুন রেকর্ডে।
0 Comments